‘বসত বাড়ির ঝগড়া কেজে আমার তো কই মিটল না’ – এই পদটির রচয়িতা লালন ফকির। এই গানটি, বাউল গানের রীতিপ্রথা মেনে, রূপক অলঙ্কারের মাধ্যমে তত্ত্বকথা ব্যক্ত করেছে। রয়েছে বাহ্যিক অর্থ ও গূঢ়ার্থ। বাহ্যিক অর্থ অনুসারে গানটি বসতবাড়ির ঝগড়া ও কাজিয়া, এবং সেই নিয়ে দারোগা-কোতওয়ালদের মধ্যস্থতার জন্য শরণাপন্ন হওয়া – এই সবের কথা বলছে। গানটির ভাষায় […]   আরও পড়ুন

এই গানটি ঈশ্বরের প্রতি নিবেদন। গানটি বলছে যে, প্রেম না থাকলে হজ্ব করা, মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ করা এই সকলই নিষ্ফল। সবার ওপরে প্রয়োজন মানবপ্রেম, মানবতার প্রতি প্রেম। কোনো বাহ্যিক রীতি রেওয়াজের বিন্দুমাত্র প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন প্রেম ও ভক্তির।   আরও পড়ুন

‘গুরু বস্তু চিনে নে না’ – এই গানটির পদকর্তা লালন ফকির। গানটি বলছে যে, জীবন অনিত্য, তাই সময় থাকতে সাধনায় নিবিষ্ট হতে হবে। বাউল ফকিরি দর্শনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল গুরুতত্ত্ব। গুরুর দেখানো পথেই শিষ্যের যাত্রা। এই গুরুতত্ত্বের কথাই প্রকাশ পেয়েছে এই গানটিতে।   আরও পড়ুন

‘কৃষ্ণ প্রেম সুখের ধান ভানা’ এই গানটির রচয়িতা অনন্ত গোঁসাই। রাধার প্রেক্ষিতে কৃষ্ণের প্রতি প্রেম ব্যক্ত করা হচ্ছে এই গানটিতে। রূপক-অলঙ্কারের মাধ্যমে ব্যক্ত করা হচ্ছে তত্ত্বের কথা। কৃষ্ণপ্রেম যেন অনুরাগের ঢেঁকিতে সুখের ধান ভানা। সেই ঢেঁকি রয়েছে মানবদেহে। দেহতত্ত্বের গূঢ় কথা এক রহস্যময় ভাষায় ও ছন্দে ফুটে উঠছে এই গানটিতে, শব্দ বুনে বুনে শ্রোতার মানসপটে […]   আরও পড়ুন

‘আনন্দেতে ঘটি হারালি’ – এই গানটি লিখেছেন লব্ধপ্রতিষ্ঠ বাউল গুরু সাধন দাস বৈরাগ্য। এই গানটি তেমন এক প্রেমিকের কথা বলছে যে আনন্দের আতিশয্যে ঘটি হারিয়েছে। এই গানটিতে রূপক-অলঙ্কারের মাধ্যমে রহস্যময় ও ইঙ্গিতবাহী ভাবে গুরুভক্তির বলা হচ্ছে। গুরুর দেখানো পথেই শিষ্য খুঁজে পাচ্ছে দিব্য আনন্দ। এই খুঁজে পাওয়ার পথে যাতে ভ্রষ্ট না হয় শিষ্য, যাতে প্রেমে […]   আরও পড়ুন

‘গৌর আর নিতাই তারা দুই ভাই’ এই গানটির রচয়িতা হেমন্ত দাস। নদিয়ার গৌর (শ্রীচৈতন্য) ও নিতাই (নিত্যানন্দ) কীভাবে প্রেম ও ভক্তিরসের মাধ্যমে বৈষ্ণবধর্ম প্রচার করলেন তা বর্ণনা করা হয়েছে। তাঁদের সন্ন্যাস গ্রহণ, গৌরাঙ্গের সন্ন্যাস-গ্রহণে বিষ্ণুপ্রিয়ার শোক, এমনকি শ্রীচৈতন্যদেবের রহস্যময় অন্তর্ধান-প্রসঙ্গেরও উল্লেখ রয়েছে এই গানে।   আরও পড়ুন

“ও মন চাষা রে” – এই গানটিতে মনকে একজন কৃষক হিসেবে সম্বোধন করে বলা হচ্ছে যে, সে অপরের জমিতে ব্যর্থ ভাবে চাষ করে চলেছে, কিন্তু নিজের জমি আবাদ করছে না। এটিও একটি রূপক অলঙ্কারের মাধ্যমে পরিবেশিত সংগীত।   আরও পড়ুন

‘আমি একজন পাগল পেলাম না’, এই গানটিতে খোঁজা হচ্ছে দিব্যোন্মাদ, ভাবোন্মাদ কাউকে। মানুষ ধনের জন্য, মানের জন্য, প্রেমের জন্য পাগল হয়। কিন্ত সেইসব মানুষেরা জাগতিক মায়ায় মত্ত, তারা কেউই যথার্থ পাগল নয়। মানবসমাজে দিব্যোন্মাদ ব্যক্তি খুব কমই দেখা যায়। ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব ছিলেন তেমনই একজন ব্যতিক্রমী মানুষ। রাধার প্রেমে কৃষ্ণও ছিলেন তেমনই এক পাগল। […]   আরও পড়ুন

‘মরণ কারো কথা শোনে না’ গানটির রচয়িতা প্রখ্যাত  ভবা পাগলা। এই গানটি বলছে যে মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী, সে কারো কথা শোনে না, সে যে কারুর কাছে যে কোনো স্থানে যে কোনো সময়ে হানা দিতে পারে। এই মরণের বিপরীতে রয়েছে জীবন। সেই বৈপরীত্বের উদযাপন এই গান। জীবন ও মৃত্যুর দ্বৈততা অতিক্রম করে গানটি শ্রোতাদের এই মর্মে ইঙ্গিত […]   আরও পড়ুন

‘গৌরলীলার বাজারে অবাক যাই হেরে’ গানটিতে রূপক অলঙ্কারের মধ্য দিয়ে বাউল সাধনতত্ত্ব বোঝানো হয়েছে। গানটির রচয়িতা অনন্ত গোঁসাই। গৌরলীলার বাজার এক অদ্ভুত স্থান। সেইখানে ছুঁচের ছিদ্র দিয়ে হাতি পেরিয়ে যায়, আমের ভিতর জামের বীচি হয় ইত্যাদি। এই গৌড়লীলার বাজার আবার বসে হাঁসের ডিমের ভিতর, আর এইসব দেখে এক মড়া হাসতে থাকে। এই সব আপাত-আজগুবি বিষয়গুলির […]   আরও পড়ুন