ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর পশ্চিম অঞ্চলে যে কাওয়ালি প্রচলিত সেগুলি গাওয়া হয় ঊর্দু ভাষায়। কিন্তু বহু বছর ধরে বাংলাতেও বাংলা ভাষায় গাওয়া কাওয়ালি গান প্রচলিত। বাংলা কাওয়ালি সাম্প্রতিক কালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে অবলুপ্তির পথে চলেছিল। কিন্তু নদিয়া জেলার গোরভাঙার কিছু ফকিরের উদ্যমে বর্তমানে তা পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। সেখানকার কিছু ফকিরের কণ্ঠেই এই কাওয়ালি গানটি পরিবেশন করা হয়েছে। আরও পড়ুন
‘চল যাই প্রেম বাজারে’ গানটির পদকর্তা খোটোরে গোঁসাই। গানটি বলছে যে, ‘প্রেম বাজার’ এমন এক স্থান যেখানে হিংসা, নিন্দা কাম নেই, যেখানে সবাই প্রেমিক এবং যেখানে প্রেমের নদী বইছে। এই স্থান রয়েছে মানুষেরই অন্তরে এবং সনিষ্ঠ সাধনার মাধ্যমেই সেইখানে পৌঁছনো সম্ভব। আরও পড়ুন
সুপ্রসিদ্ধ বাউল-ফকির পদকর্তা লালন ফকির রচিত বাউল গান ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ পাবি’। গানটি বলছে, মানুষেরই ভজনা করতে, কারণ মানুষেরই মধ্যে রয়েছেন স্বয়ং ঈশ্বর। মানুষের মধ্যে যে পরম ঈশ্বরের বিরাজ, তা গুরু রূপে শিষ্যের সামনে প্রতিভাত হয়। আরও পড়ুন
গানটি ইন্দ্রিয় দমনের কথা বলছে। রিপুর প্রকোপ থেকে সুরক্ষিত হয়ে ধ্যানে নিমগ্ন হওয়ার প্রসঙ্গই ফুটে উঠেছে এই গানে। আরও পড়ুন
‘গৌরলীলার বাজারে অবাক যাই হেরে’ গানটিতে রূপক অলঙ্কারের মধ্য দিয়ে বাউল সাধনতত্ত্ব বোঝানো হয়েছে। গানটির রচয়িতা অনন্ত গোঁসাই। গৌরলীলার বাজার এক অদ্ভুত স্থান। সেইখানে ছুঁচের ছিদ্র দিয়ে হাতি পেরিয়ে যায়, আমের ভিতর জামের বীচি হয় ইত্যাদি। এই গৌড়লীলার বাজার আবার বসে হাঁসের ডিমের ভিতর, আর এইসব দেখে এক মড়া হাসতে থাকে। এই সব আপাত-আজগুবি বিষয়গুলির […] আরও পড়ুন
‘মরণ কারো কথা শোনে না’ গানটির রচয়িতা প্রখ্যাত ভবা পাগলা। এই গানটি বলছে যে মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী, সে কারো কথা শোনে না, সে যে কারুর কাছে যে কোনো স্থানে যে কোনো সময়ে হানা দিতে পারে। এই মরণের বিপরীতে রয়েছে জীবন। সেই বৈপরীত্বের উদযাপন এই গান। জীবন ও মৃত্যুর দ্বৈততা অতিক্রম করে গানটি শ্রোতাদের এই মর্মে ইঙ্গিত […] আরও পড়ুন
‘আমি একজন পাগল পেলাম না’, এই গানটিতে খোঁজা হচ্ছে দিব্যোন্মাদ, ভাবোন্মাদ কাউকে। মানুষ ধনের জন্য, মানের জন্য, প্রেমের জন্য পাগল হয়। কিন্ত সেইসব মানুষেরা জাগতিক মায়ায় মত্ত, তারা কেউই যথার্থ পাগল নয়। মানবসমাজে দিব্যোন্মাদ ব্যক্তি খুব কমই দেখা যায়। ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব ছিলেন তেমনই একজন ব্যতিক্রমী মানুষ। রাধার প্রেমে কৃষ্ণও ছিলেন তেমনই এক পাগল। […] আরও পড়ুন
“ও মন চাষা রে” – এই গানটিতে মনকে একজন কৃষক হিসেবে সম্বোধন করে বলা হচ্ছে যে, সে অপরের জমিতে ব্যর্থ ভাবে চাষ করে চলেছে, কিন্তু নিজের জমি আবাদ করছে না। এটিও একটি রূপক অলঙ্কারের মাধ্যমে পরিবেশিত সংগীত। আরও পড়ুন
‘গৌর আর নিতাই তারা দুই ভাই’ এই গানটির রচয়িতা হেমন্ত দাস। নদিয়ার গৌর (শ্রীচৈতন্য) ও নিতাই (নিত্যানন্দ) কীভাবে প্রেম ও ভক্তিরসের মাধ্যমে বৈষ্ণবধর্ম প্রচার করলেন তা বর্ণনা করা হয়েছে। তাঁদের সন্ন্যাস গ্রহণ, গৌরাঙ্গের সন্ন্যাস-গ্রহণে বিষ্ণুপ্রিয়ার শোক, এমনকি শ্রীচৈতন্যদেবের রহস্যময় অন্তর্ধান-প্রসঙ্গেরও উল্লেখ রয়েছে এই গানে। আরও পড়ুন
‘আনন্দেতে ঘটি হারালি’ – এই গানটি লিখেছেন লব্ধপ্রতিষ্ঠ বাউল গুরু সাধন দাস বৈরাগ্য। এই গানটি তেমন এক প্রেমিকের কথা বলছে যে আনন্দের আতিশয্যে ঘটি হারিয়েছে। এই গানটিতে রূপক-অলঙ্কারের মাধ্যমে রহস্যময় ও ইঙ্গিতবাহী ভাবে গুরুভক্তির বলা হচ্ছে। গুরুর দেখানো পথেই শিষ্য খুঁজে পাচ্ছে দিব্য আনন্দ। এই খুঁজে পাওয়ার পথে যাতে ভ্রষ্ট না হয় শিষ্য, যাতে প্রেমে […] আরও পড়ুন